শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যেভাবে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আবারো ক্ষমতার শীর্ষে ট্রাম্প

যেভাবে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আবারো ক্ষমতার শীর্ষে ট্রাম্প

স্বদেশ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা অবশ্যই সবচেয়ে নাটকীয় ফিরে আসা। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার সেখানে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই জয় তার কঠোর পদ্ধতির রাজনৈতিক ধরনে বৈধতা প্রদান করেছে। তিনি তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে নারী বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী-ভাষায় অত্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন।

তিনি দেশের এমন একটি ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরেছেন যেখানে সহিংস অভিবাসীরা চোষে বেড়াচ্ছে। এই কর্কশ বাগাড়ম্বর এবং অতি মাত্রায় পুরুষালী চিত্র, গভীরভাবে বিভক্ত জাতিতে ক্ষুব্ধ ভোটারদের, বিশেষত পুরুষদের মধ্যে অনুরণন সৃষ্টি করে।

ট্রাম্প তার বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই ফ্লোরিডায় উল্লাসিত সমর্থকদের সমাবেশে বলেন, ‘আপনাদের ৪৭তম এবং ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অসাধারণ সম্মানের জন্য আমি আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

রাজ্যের পর রাজ্যে, ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় ট্রাম্প অনেক ভালো ফল করেছেন। অন্যদিকে, জো বাইডেন চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পথে যা করেছেন, হ্যারিস সেরকম করতে ব্যর্থ হন।

পুনরায় দায়িত্ব নেয়ার পরে, ট্রাম্প এমন একটি সেনেটের সাথে কাজ করবেন যা এখন রিপাবলিকানদের হাতে থাকবে। তবে, হাউসের নিয়ন্ত্রণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

নারী প্রতিদ্বন্দ্বী
তার দ্বিতীয় মেয়াদে, ট্রাম্প ফেডারেল সরকারকে ব্যাপকভাবে পুনর্নির্মাণ এবং তার কথিত শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ওপর কেন্দ্র করে একটি অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করার অঙ্গীকার করেছেন।

ফলাফলটি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে দু’টি হত্যার চেষ্টা এবং দলটির সম্মেলনের ঠিক এক মাস আগে নতুন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকে সামনে আনা-সহ একটি ঐতিহাসিকভাবে উত্তাল এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী মৌসুমের সমাপ্তি টানলো।

ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি শাসনভার গ্রহণ করার পর একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। এর মধ্যে রয়েছে রাজনীতি নিয়ে তীব্র বিভাজন এবং বিশ্বব্যাপী সঙ্কট যা আমেরিকার আন্তর্জাতিক প্রভাবকে পরীক্ষার সম্মুখীন করছে।

কমলাকে পরাজিত করে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচনে একজন নারী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেন। কমলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী যিনি একটি প্রধান দলের শীর্ষ প্রার্থী হলেন। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা বাইডেনের বয়সজনিত উদ্বেগের কারণে সরে দাঁড়ানোর পর নির্বাচনটিতে শীর্ষ প্রার্থী হন।

শুরুতে তার প্রচারণা ব্যাপক উৎসাহ সঞ্চার করলেও, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি হতাশ ভোটারদের বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করেন যে, তিনি একটি অজনপ্রিয় প্রশাসন থেকে আলাদা কিছু উপস্থাপন করছেন।

গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর ট্রাম্পই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন। ক্লিভল্যান্ড ১৮৯২ সালের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসেছিলেন। ট্রাম্প প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৭৮ বছর বয়সে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৪০ বছর বয়সী ওহাইও-এর সেনেটর জেডি ভ্যান্স, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত মিলেনিয়াল প্রজন্মের প্রতিনিধি হবেন।

ট্রাম্পের বিজয় ঘোষণার আগেই বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দনবাণী আসা শুরু হয়।

ক্ষোভ ও হতাশার অনুভূতি
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেক কম থাকবে। তিনি দ্রুত একটি ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন, যা আমেরিকার প্রশাসনের প্রায় সব দিক পরিবর্তন করবে।

কংগ্রেসে তার রিপাবলিকান সমালোচকরা বেশিভাগই পরাজিত বা অবসর নিয়েছেন। ফেডারেল আদালতগুলো এখন তার নিয়োগকৃত বিচারক দিয়ে পূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে তিনজন ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারক রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এ বছর একটি রায় জারি করে যা প্রেসিডেন্টদের ব্যাপকভাবে বিচার থেকে দায়মুক্তি দেয়।

কমলা তার প্রাথমিক বার্তায় বেশিভাগ আনন্দের ওপর জোর দেন, কিন্তু ট্রাম্প ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার গভীর অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলে তা কাজে লাগান।

তিনি জনগণের মধ্যে উচ্চ মূল্য নিয়ে হতাশা এবং অপরাধের আতঙ্ক এবং বাইডেনের শাসনামলে অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের প্রতি ক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিজের প্রচারণা চালান।

তিনি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটদের এক বিশৃঙ্খল বিশ্বের নিয়ন্ত্রক ও উৎসাহদানকারী হিসেবে তুলে ধরেন।

এটি ছিল এমন একটি কৌশল, যা ট্রাম্প ২০১৬ সালে নিখুঁতভাবে ব্যবহার করেন। তিনি বেশিভাগই স্বৈরশাসকদের মতোন ভাষা ব্যবহার করে নিজেকে দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সক্ষম একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেন।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে আমি ঘোষণা করি, আমি আপনাদের কণ্ঠস্বর। আজ আমি তার সাথে যোগ করছি, আমি আপনাদের যোদ্ধা। আমি আপনাদের ন্যায়বিচার। আর যাদের প্রতি অবিচার এবং বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, আমি আপনাদের প্রতিশোধ।’

আততায়ীর ব্যর্থ প্রচেষ্টা
তবে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তটি আসে জুলাই মাসে, যখন পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে ট্রাম্পের একটি সমাবেশে একজন বন্দুকধারী গুলি চালায়। একটি গুলি ট্রাম্পের কানের পাশে দিয়ে যায় এবং তার এক সমর্থক নিহত হন।

রক্তমাখা মুখ নিয়ে, ট্রাম্প দাঁড়িয়ে মুষ্টি উঁচিয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘ফাইট! ফাইট! ফাইট! “লড়ো! লড়ো! লড়ো!’

কয়েক সপ্তাহ পর, গলফ খেলার সময় গাছের আড়াল থেকে একটি বন্দুকের ব্যারেল দেখতে পেয়ে সিক্রেট সার্ভিস অ্যাজেন্টরা তার ওপর দ্বিতীয় হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়।

২০২১ সালের শুরুর দিকে তিনি ওয়াশিংটন ছেড়ে যাওয়ার পর ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন অসম্ভাব্য বলে মনে হয়েছিল। তিনি একজন দুর্বল ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন, যিনি তার পরাজয় নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে সহিংস বিদ্রোহের সৃষ্টি করেছিলেন।

ওই সময় তিনি এতটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন যে তার পরিবারের বাইরে খুব কম মানুষই অ্যান্ড্রুজ এয়ার ফোর্স বেসে তার নিজের আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়, যেখানে তাকে সম্মান জানাতে ২১-গান স্যালুট দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস নিয়ন্ত্রণকারী ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত বিদ্রোহে তার ভূমিকার জন্য ট্রাম্পকে অভিশংসন করে। তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যাকে দু’বার অভিশংসন করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের বিচারে রেহাই পান, কারণ অনেক রিপাবলিকান যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার কারণে আর হুমকি তৈরি করছেন না।

তবে ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগো রিসোর্ট থেকে কিছু নির্বাচিত রিপাবলিকানদের সহায়তায় ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি কেভিন ম্যাকার্থি ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে তার দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পরই ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন, যা মূলত তার দলের মধ্যে তার অব্যাহত ভূমিকা স্বীকার করে।

মামলায় শক্তি
ট্রাম্প ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে, তার অনুমোদন দেয়ার শক্তি ব্যবহার করে পার্টির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার পছন্দের প্রার্থীরা প্রায় সব সময়ই তাদের প্রাথমিক নির্বাচনে জয়লাভ করে, কিন্তু কিছু প্রার্থী সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হন, যেগুলো রিপাবলিকানরা তাদের হাতের নাগালের মধ্যে ভেবেছিল।

এই হতাশাজনক ফলাফল আংশিকভাবে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার প্রত্যাহার করার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি প্রতিক্রিয়া থেকে চালিত হয়। এই রায়টি ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারপতিদের সহায়তায় সম্ভব হয়। মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে প্রশ্ন উঠে ট্রাম্পকে পার্টির নেতা হিসেবে রাখা উচিত কি না।

কিন্তু, ট্রাম্পের ভবিষ্যত নিয়ে যদি কোনো সন্দেহ থাকেও, তা ২০২৩ সালে পরিবর্তিত হয় যখন তিনি বিদ্রোহে তার ভূমিকা, গোপন তথ্য পরিচালনা এবং নির্বাচন হস্তক্ষেপের জন্য রাজ্য এবং ফেডারেল অভিযোগের মুখোমুখি হন। তিনি অভিযোগগুলোকে নিজেকে একটি অত্যধিক ক্ষমতাশালী সরকারের শিকার হিসেবে চিত্রিত করার জন্য ব্যবহার করেন। এই যুক্তি রিপাবলিকান পার্টির মূল সমর্থকদের মধ্যে সাড়া ফেলে। এই সমর্থক গোষ্ঠী সরাসরি শত্রু মনোভাব পোষণ না করে থাকলেও ক্রমবর্ধমানভাবে প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা কাঠামোর প্রতি সন্দিহান ছিল।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস রিপাবলিকান প্রার্থিতার জন্য ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো প্রাথমিক নির্বাচনী প্রচার থেকে সমস্ত মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে।’

ডেসান্টিস বা অন্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের সাথে কোনো বিতর্কে অংশ না নিয়েই ট্রাম্প সহজেই তার দলের মনোনয়ন অর্জন করেন।

র‍্যাডিক্যাল অ্যাজেন্ডা
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শীর্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন, তখন মে মাসে নিউইয়র্কের একটি জুরি তাকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব ফেলার লক্ষ্যে এক পর্ন অভিনেত্রীকে চুপ করানোর জন্য অর্থ প্রদান সংক্রান্ত ৩৪টি অপরাধমূলক অভিযোগে অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে। এই মাসের শেষে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, যদিও তার বিজয়ের কারণে প্রশ্ন উঠেছে আদৌ তিনি কোনো শাস্তির মুখোমুখি হবেন কি না।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জর্জিয়ায় নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মামলায় অতিরিক্ত ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে, যা বর্তমানে আটকে আছে। ফেডারেল স্তরে তাকে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা এবং গোপন নথি অবৈধভাবে পরিচালনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কুরি জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর, ট্রাম্প একজন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করতে পারেন যিনি তার বিরুদ্ধে আনা ফেডারেল অভিযোগগুলো মুছে দিবেন।

হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার প্রস্তুতি নেয়ার সময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত একটি র‍্যাডিক্যাল অ্যাজেন্ডা কার্যকর করবেন, যা আমেরিকার সরকারের প্রায় প্রতিটি দিককে রূপান্তর করবে।

তার অ্যাজেন্ডার মধ্যে রয়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহিষ্কার অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা, তার শত্রুদের শাস্তি দেয়ার জন্য বিচার বিভাগের ব্যবহার, শুল্কের ব্যবহারে ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং পররাষ্ট্র নীতিতে পুনরায় একটি জিরো সাম পদ্ধতি অনুসরণ করার পরিকল্পনা, যা ন্যাটো চুক্তিসহ দীর্ঘস্থায়ী বিদেশী জোটগুলোকে হুমকির মুখে ফেলবে।

২০১৭ সালে তিনি যখন ওয়াশিংটনে আসেন, তখন ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খুব কমই জানতেন। তার অ্যাজেন্ডা কংগ্রেস, আদালত এবং সাথে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাধার মুখে পড়ে, যারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়।

ট্রাম্প বলেন, ‘এইবার তিনি এমন অনুগতদের নিজের সাথে রাখবেন যারা নির্দ্বিধায় তার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এবং যারা শত শত খসড়া নির্বাহী আদেশ, আইন প্রণয়ন প্রস্তাবনা এবং বিশদ নীতিমালার কাগজপত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আসবেন।

সূত্র : ভিওএ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877